কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর রাখানায় খুশি হত্যা ঘটনায় নতুন বর (জেঠাতো বোনের স্বামী) আব্দুল গনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে খুশির মা প্রায় মাস তিনেক আগে বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে চলে যায়। তার বাবা বাবু ঢাকায় প্লাষ্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করার স্বার্থে সেখানে থাকেন।
এ কারণে হাফছা আক্তার খুশিসহ তিন বোন বাবুর ছোট বোন শাহিদা বেগমের বাড়িতে থাকতো। গত ৪ সেপ্টেম্বর খুশির জেঠাতো বোন আঙ্গুয়ারার বিয়ে হয় পাশের গ্রামের আব্দুল গনির সঙ্গে।
বাড়িতে ঘর সঙ্কট থাকায় নতুন বর-কনে একই ঘরে থাকায় স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যাপার দেখে ফেলে খুশি। এ সময় খুশি দুষ্টুমির ছলে আব্দুল গণির লুঙ্গি ধরে টান দেয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে খুশিকে শায়েস্তা করার সুযোগ খোঁজে নতুন বর গণি।
এদিকে গতকাল রোববার সকালের দিকে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে খুশিকে ঘরে ডেকে নিয়ে বিছানায় ফেলে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এবং ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য লাশের গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের বাঁশের ধর্নায় ঝুলিয়ে রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে রাখে।
পরে আত্মাহত্যার খবর রটালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ঘাতক গণিকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় খুশির বাবা বাবু মিয়া বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিস্তারিত জানায় আব্দুল গণি।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবিউল হাসান জানান, আসামি গণি মিয়াকে আদালতে পাঠালে সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার স্বাক্ষী গনির নববধূ আঙ্গুয়ারা এবং শ্বাশুরী আমিনা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
পাঠকের মতামত